জীবনী
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জন্ম ১০ নভেম্বর ১৯৪৯, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং ২০০১ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। চৌধুরী চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আলোচনায় জড়িত ছিলেন, যার মধ্যে রয়েছে কানকুনে ডব্লিউটিও মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন এবং দোহার মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন। তিনি বাণিজ্য নীতিতে, বিশেষ করে স্বল্পোন্নত দেশগুলির (এলডিসি) বিশ্ব বাণিজ্যে একীভূতকরণের ক্ষেত্রে তার দক্ষতার জন্য স্বীকৃত। বাণিজ্য ও উন্নয়নে চৌধুরীর অবদান উল্লেখযোগ্য, এবং তিনি বর্তমানে এই ক্ষেত্রে তার কাজকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য একটি গবেষণা থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক স্থাপন করছেন।
তিনি কী করেছেন
চট্টগ্রাম-এর জন্য জনাব আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী-এর কিছু শীর্ষ কৃতিত্ব:
১। তিনি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠা করেন এবং ফেডারেশন অফ সাউথ এশিয়ান এক্সচেঞ্জের প্রথম সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, আর্থিক খাতের উন্নয়নে অবদান রাখেন।
২। চৌধুরী দক্ষিণ কোরিয়া এবং চীনের মতো দেশগুলিতে অর্থনৈতিক, ব্যবসায়িক এবং বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন, বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের সাথে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করেছেন।
রাজনৈতিক ক্যারিয়ার
জনাব আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রামের একটি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান এবং দলকে সংগঠিত করার জন্য সাময়িকভাবে নগর বিএনপি ইউনিটের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৯১ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে উপ-নির্বাচনে চৌধুরী চট্টগ্রাম-৮ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের জুনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে চৌধুরী চট্টগ্রাম-৮ আসন থেকে ৪৭.১ শতাংশ (১১৬,৫৪৭ ভোট) ভোট পেয়ে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) তে তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদান এবং প্রাক্তন বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর ভূমিকার মাধ্যমে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর রাজনৈতিক জীবন চিহ্নিত। তিনি চট্টগ্রাম-৮ আসন থেকে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। চৌধুরী দলের নীতিমালা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আলোচনায়, বিশেষ করে স্বল্পোন্নত দেশগুলির সাথে, একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। কল্যাণ-ভিত্তিক রাজনীতির প্রচারে তাঁর প্রচেষ্টা এবং একটি গবেষণা থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠায় তাঁর ভূমিকা বাংলাদেশের মুখোমুখি অর্থনৈতিক ও সামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তাঁর প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে।
এই আসনের জন্য পরিকল্পনা
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম-১১ আসনের জনগণের জন্য ইতিবাচক ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করছেন। তিনি এই নির্বাচনী এলাকার যানজট ও পণ্য পরিবহন সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা, জলাবদ্ধতা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা, বন্দরের কার্যক্রম ও জনবসতির চাপ সামলাতে শহরের এই অংশে আধুনিক অবকাঠামো এবং পর্যাপ্ত মানসম্মত আবাসন নিশ্চিত করার পরিকল্পনা করছেন।